প্রতিস্পর্ধী


হে কবি, শুরুটা তো আমাদের প্রায় একই ছিল।
কিন্তু তারপর ? নিজেকে তুমি –
সেফ সাইডেই রাখলে!
আর আমায় নিয়ে যত
টুইস্ট নাচলে !পিতা আমার আলোর সাপ্লায়ার
তাই, আমার জীবনের পরতে পরতে ,
অজানা অন্ধকার।
পূণ্যস্রোতে ভাসিয়ে দেওয়া পাপ আমি,
তাই তো, পরিচয় দেয়নি জন্মদাত্রী !
আর ব্র্যান্ডহীন পুতুল নিয়ে —
খেলে গেছেন অন্তর্যামী !

ওহো ,ব্র্যান্ডের কি মহিমা !!

যার অভাবে দ্রোণস্যর স্কুল থেকে করেছিলেন বহিষ্কার ।
আর যে গুরুর জন্য , নীরবে যন্ত্রনা করেছিলাম সহ্য ,
তাঁর নজরে ,সেই ব্র্যান্ড ধরা পড়ল হয়ে অসহ্য ।
তাই টিটেনাসের বদলে তিনি দিয়ে দিলেন _
অভিশাপ আর তিরষ্কার ।

হায় অর্জুন , শুধু ব্র্যান্ডেড ছিলে বলে ,
সয়ম্বরের মৎস্যনেত্র
কিংবা কুরুক্ষেত্র
সর্বত্র অ্যাডভ্যানটেজ পেলে ।
রাজাধিরাজ বাবা তোমার
ফুসলে নিয়েছিলেন –
জীবন কবচ আমার ।

যে নিজের বুদ্ধিতে চলতে ছিল অক্ষম –
তারই অনুরোধে , তুচ্ছ ঘটোৎকচকে –
নিক্ষেপ করলাম সেই অস্ত্র ,
যা ছিল তোমারে বধিতে সক্ষম ।

মোক্ষম সময়ে , ওগো বাসুদেব –
আমার রথের চাকা বসিয়ে
তুমিও মুচকি হাসলে ,
অর্জুনের সাথে ভিকট্রিস্যান্ডে দাঁড়িয়ে ।

তবু–
শোনো হে কবি , হে অর্জুন , হে বাসুদেব
শুনে রাখো আমার এই ভার্সান –
ভাসিয়ে দেওয়া জীবন আমার
তবু , অস্তগামী সূর্যের দিকে তাকিয়ে
অপু শুধুই ভেবেছিল কথা যার ।
তোমাদের মতো বিজয়ীদের উপস্থিতিও
মন থেকে তার –
সে কথার ঘটাতে পারেনি অবসান ।

এই অপুরাই বারবার
ভেবে কথা যার ,
করেছে করবে –
তোমাদের সব দর্প চূর্ণ
হ্যা , আমিই সেই কর্ণ ।।

– By

Suhani Bhattacharjee